-10%

Chaitanyadeb / চৈতন্যদেব

🔷কারো মতে চৈতন্যদেব ছিলেন সাম্যবাদী, কেউ বা বলেন সমাজ সংস্কারক, কারো মতে তিনি ধর্মীয় প্রবর্তক। বৈষ্ণব রচয়িতাগণ চৈতন্যদেব সম্পর্কে তত্ত্বালোচনা যেমন করেছেন, তেমনই অনেক গবেষক তাঁর অন্তর্ধান রহস্যের ওপরও জোর দিয়েছেন। কিন্তু ‘ব্যক্তি’ চৈতন্যদেব বা ‘মানুষ’ চৈতন্যদেব কেমন ছিলেন সে সম্পর্কে আলোচনা খুব কমই দেখা যায়। লেখকের এই বইয়ের অভিনবত্ব এখানেই। তিনি এই বইতে মহাপ্রভুকে নিয়ে শুধুমাত্র তাত্ত্বিক আলোচনায় আবদ্ধ থাকতে চাননি। বরং বিশ্বম্ভর থেকে চৈতন্যদেবের উত্তরণ কীভাবে ঘটল সেটাই দেখার চেষ্টা করেছেন। ফলে প্রসঙ্গক্রমেই এসেছে বাংলার সুলতানী আমল, ফতেহ শাহ, কাজী হোসেনসহ অনেকের নাম।
🔷চৈতন্যদেবকে বৈষ্ণবদের প্রধান পুরুষ বলা হলেও এর উদ্ভাবক যে তিনি নন সে সম্পর্কে লেখক এখানে বিশদভাবে আলোচনা করেছেন। মাধবেন্দ্রপুরীর আবির্ভাব থেকে শুরু করে তিনি অদ্বৈত আচার্যকে কীভাবে দীক্ষা দিয়ে নীলাচলে চলে যান তার বিস্তারিত বিবরণ আছে। লেখক খুব স্পষ্টভাবে বলেছেন বৃন্দাবন, গৌড়বঙ্গ এবং নীলাচল-পুরীর মধ্যে যে ত্রিভুজ সম্পর্ক ভবিষ্যতে চৈতন্যদেবের সময় গড়ে উঠবে, সেই প্রেমের পথের জয়যাত্রার ভিত্তিপ্রস্তর কিন্তু গড়ে দিয়ে গিয়েছিলেন মাধবেন্দ্রপুরী। রয়েছে ঈশ্বরপুরীর কথাও।
🔷তার্কিক, অহংকারী বিশ্বম্ভরের চৈতন্যদেবে পরিবর্তন পর্বটি খুব সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন লেখক। ভক্তি আন্দোলনের সূচনা, হরিদাস, নিত্যানন্দ সাথে সাক্ষাৎপর্ব, কাজী হোসেনের সাথে মহাপ্রভুর বাকযুদ্ধ সব কিছুই চমৎকারভাবে পরিবেশন করেছেন লেখক। প্রতিটি ঘটনার ব্যাখ্যা তিনি করেছেন আর্থিক, সামাজিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে। আর এর জন্য তিনি বৈষ্ণব সাহিত্যের পুঁথিগুলোরই সাহায্য নিয়েছেন। কিন্তু ব্যাখ্যা করেছেন নিজস্ব বিচারবুদ্ধিতে এবং পারিপার্শ্বিক বেশ কিছু অবস্থা বিচার করে বেশ কিছু সিদ্ধান্তেও উপনীত হয়েছেন।

Out of stock

180.00

Additional information

Weight 450 g

Reviews

There are no reviews yet.

Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.