Debloker Amritasandhane -(basukital-kalindikhal-badrinath Porbo ) / দেবলোকের অমৃতসন্ধানে (বাসুকীতাল-কালিন্দী খাল-বদ্রীনাথ পর্ব) – দ্বিতীয় খন্ড

অপার করুণাঘন শ্রীশ্রীবদ্রীনারায়ণ, চির কল্যাণময় শ্রীশ্রীকেদারনাথ, দেবী সুরেশ্বরী জননী গঙ্গা এবং মহাভাবস্বরূপিনী যমুনামায়ের অশেষ কৃপায় “দেবলোকের অমৃতসন্ধানে” গ্রন্থের প্রথম পর্বের বিরাট সাফল্যের পর দ্বিতীয় পর্বও প্রকাশিত হল।

দেবতাত্মা হিমালয়ের গভীর গহনে উত্তুঙ্গ শিখরে সুদীর্ঘকাল পরিব্রাজনের মাধ্যমে যে অলৌকিক অভিজ্ঞতা ও অপরিসীম আনন্দ লাভ করেছি তারই রসাস্বদিত রূপ এই “দেবলোকের অমৃতসন্ধানে।“ প্রথম পর্বে ছিল হরিদ্বার, হৃষিকেশ, যমুনোত্রী, উত্তরকাশী, গঙ্গোত্রী ও গোমুখ ভ্রমণের বিশদ বর্ণনা। এই পর্বে রয়েছে হিমালয়ের নিঃসীম তুষারলোক বাসুকীতাল, কালিন্দীখাল ও বদ্রীনাথ ভ্রমণের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ। গাড়োয়াল হিমালয়ের সর্বাধিক দুর্গম পথ ব’লে বিবেচিত গোমুখ থেকে হিমবাহের মধ্য দিয়ে বদ্রীনাথে যাবার সময়ে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতারই রসসিক্ত রূপায়ন ঘটেছে এই গ্রন্থে।

জীবন ঊষায় হিমালয়কে ভালবেসেছিলাম সেখানকার বহিরঙ্গের দেবদুর্লভ ও নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্য দেখে। কিন্তু হিমালয়ের এই অন্তরলোকে ভ্রমণ করার সময়েই প্রথম তার অন্তরঙ্গের অপার্থিব মহাসৌন্দর্য্য ও অপার করুণার পরশ লাভ করি। সেই অপূর্ব অভিজ্ঞতা আমায় পরম আনন্দে ও মহাবিস্ময়ে স্তম্ভিত করে দেয়। মন উপলব্ধি করে – হিমালয়ের বহিরঙ্গের সৌন্দর্য্যের গভীরে লুকিয়ে আছে চিরন্তন অরূপের অপরূপ প্রকাশ। আর এই উপলব্ধিই আমায় জোগায় দেবলোক হিমালয়ের অমৃতস্বরূপ এই ঐশীলীলার প্রকাশ দুচোখ ভরে দর্শন করার এবং সমস্ত মনপ্রাণ দিয়ে অনুভব করার প্রেরণা। ফলে ‘চরৈবেতি’র মহামন্ত্র বারবার অনুরণিত হতে থাকে মনের মাঝে।

আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি – হিমালয়ের বুকে এই ঐশীলীলার প্রকাশ ঘটে এখানকার কন্দরে কন্দরে বিরাজিত সেই উচ্চকোটির যোগী-ঋষিদের মাধ্যমে। এই ঋষিগণ তথা দেবমানবগণ আমার মত অতি সাধারণ পথিককেও বারবার তাঁদের অপার করুণায় অভিষিক্ত ক’রেছেন। এঁদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বাসুকীতালের সেই প্রাচীন সর্বজ্ঞ মহাত্মা যিনি শুধুমাত্র এক শরণাগত ভক্তকে সুস্থ করে তোলার জন্যই আমাদের ক্যাম্পে কিছুক্ষণের জন্য এসেছিলেন। সেইসাথে অবশ্যই বলতে হয় সেই বৃদ্ধ নাগা সাধকের কথা যিনি কালিন্দী খালের ঢাল বেয়ে গড়িয়ে পড়তে থাকা আমার অচেতন মৃতপ্রায় দেহটিকে উদ্ধার ক’রেছিলেন এবং অপার করুণাভরে এই অচেতন দেহটিকে বহন করে সুদীর্ঘ পথ পেরিয়ে পৌঁছে দিয়ে গিয়েছিলেন জনজীবনের মাঝে।

এই পর্বে আরো উল্লেখ্য কেদারনাথের সুপ্রাচীন মহাযোগী শ্রীশ্রীফলাহারী বাবার বাসুকীতালে নাগবাসুকী দর্শন, ভুজবাসার ভারতবিখ্যাত মহাত্মা লালবাবার দিব্য মহাজীবনী। এছাড়াও রয়েছে হিমালয়ের সু-উচ্চ বরফাবৃত পর্বতের নিভৃতে অবস্থিত গন্ধর্বরা দেশ মরকত রাজ্যের মনোজ্ঞ বিবরণ, যেখানে থেকে এসে তাঁরা শীতের ছয়মাস হিমালয়ের চারধামে শ্রীশ্রীবদ্রীনারায়ণ, শ্রীশ্রীকেদারনাথ, জননী জাহ্নবী এবং দেবী যমুনার নিত্য সেবাপূজা ক’রে থাকেন। এই প্রসঙ্গে বিশেষভাবে বলতে হয় বদ্রীনারায়ণের বিশিষ্ট পাণ্ডা হীরালাল ভট্ট মহাশয়ের ব্যক্তিগত অলৌকিক অভিজ্ঞতা। সর্বোপরি ভারতাত্মার শাশ্বত অধিষ্ঠান দেবভূমি হিমালয়ের নিঃসীম এই গহনলোকের দিব্য মাহাত্ম্য, পৌরাণিক ঐতিহাসিক তথা ভৌগোলিক তত্ত্ব ও তথ্যসকলের যথাযথ বিবরণ দেয়া হয়েছে এই গ্রন্থে। এসবের নেপথ্যে ছিল আমার একটিই উদ্দেশ্য – দেবলোক হিমালয়ের বহিরঙ্গের সৌন্দর্য্যের সাথে সাথে তার অন্তরঙ্গের মহিমাকেও ভক্তজনমানসের সামনে তুলে ধরা; এই গ্রন্থে পাঠকরা যাতে উপলব্ধি করতে পারেন হিমালয়ের “দেবতাত্মা” বিশেষণের সার্থকতা সেজন্যই আমার এই অক্লান্ত প্রয়াস।

In stock

90.00

Additional information

Weight 300 g

Reviews

There are no reviews yet.

Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.