-10%

Arnyateeritha Amarkantak / অরণ্যতীর্থ অমরকণ্টক – তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায়

  • Book : অরণ্যতীর্থ অমরকণ্টক
  • Author : তারাশিস গঙ্গোপাধ্যায়
  • Language : Bengali
  • Publisher : Joy Maa Tara Publishers
  • Cover : Hard Cover

In stock

90.00

Description

অরণ্যতীর্থ অমরকণ্টক” বইটির আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হল – অমরকন্টকের আধ্যাত্মিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটও এই বইটাতে খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। জানেন কি, রামায়ণের সময় থেকেই এই মহাতীর্থের নাম জনমানসে সুবিদিত। কালিদাসের রচনাতেও এই তীর্থের নাম আমরা পাই। পুরাকালের বিভিন্ন গ্রন্থেও এই স্থানের নাম আমরা পাই। এই।মহাক্ষেত্র যে কত প্রাচীন তা লেখক এই গ্রন্থের তৃতীয় অধ্যায়ে জানিয়েছেন।
এই গ্রন্থে আরো আছে এই ক্ষেত্রের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। কিভাবে নর্মদার উৎস আবিষ্কার হয়েছে,আচার্য শংকর থেকে বাজিরাও এর ভূমিকা এই তীর্থ আবিষ্কারের এক ঐতিহাসিক দলিল। সেইসঙ্গে আছে কলচুরি আমলে এখানকার যেসব অসাধারণ কারুকাজসমন্বিত মন্দির নির্মাণ হয়েছে সেসবের অবাক করা ইতিহাস। বইটি পড়ে জানতে পেরেছি স্থানীয় ইতিহাসের কতকিছু। যে রাজা কর্ণদেবের আমলে অমরকন্টকের বিখ্যাত সব মন্দির নির্মাণ হয় তাঁর পরিচয় এই প্রথম কোন বইতে পেলাম। জানলাম তাঁর আসল নাম ছিল লক্ষ্মীকর্ণ। তাঁর সময়েই এখানকার মন্দিরের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে দিকে দিকে।
আপনারা কি জানেন – পাতালেশ্বর শিবমন্দিরের পাশের কুন্ডটিই ছিল আচার্য শঙ্করের সময়ে মা নর্মদার প্রথম উৎস? তারই পাশে জাগ্রত শিবলিঙ্গ পাতালেশ্বরের অবস্থান। বর্তমানে এখানে যে পাতালেশ্বর মন্দির আমরা দর্শন করি সেটি সবার আগে আচার্য শংকর নির্মাণ করেন। পরবর্তীকালে রাজা লক্ষ্মীকর্ণ তথা কর্ণদেব এটির পুনঃনির্মাণ করেন।
এই গ্রন্থে ইতিহাসের দিকে আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হল এখানকার কলচুরি রাজবংশের ইতিহাস। কিভাবে এখানে কলচুরিদের উত্থান ও পতন এবং ফিরে আসা ঘটে তা লেখক খুব সুন্দরভাবে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। সেইসাথে বর্তমানে Archaeological survey of India কর্তৃক সংরক্ষিত মন্দিরগুলির ইতিহাস ও স্থাপত্যকলা সম্বন্ধেও তিনি দিয়েছেন অসাধারণ বিবরণ। এককথায় এখানকার প্রতিটি মন্দিরের ইতিহাস এবং পৌরাণিক মহিমা সম্বন্ধে জানতে পেরে ভরে গেল মন।
সেইসাথে রয়েছে অমরকন্টকের সকল আশ্রমের বিশদ বিবরণ। এই মহাতীর্থে কত যে আশ্রম আছে তা বলে শেষ করা যাবে না। সেসব আশ্রমে কত যে সাধু সন্ত আজো সবার দৃষ্টির আড়ালে সাধনা করে চলেছেন তা কজনই বা জানি। লেখক এই গ্রন্থে প্রমুখ আশ্রমগুলির উল্লেখ করেছেন।
আচ্ছা অমরকন্টকের মার্কণ্ডেয় আশ্রম দেখেছেন? দেখে মনে হয়েছে এটি নবনির্মিত আশ্রম। তাই তো? কিন্তু জানেন কি যে এখানকার মহিমা বিরাট। এখানে যে দ্বাপরে যুধিষ্ঠির এসেছিলেন তাএবং মার্কণ্ডেয় মুনি তাঁদের জানিয়েছিলেন মা নর্মদার মাহাত্ম্য। জানেন কি এই আশ্রমে একসময়ে পূজিত হতেন মার্কণ্ডেশ্বর শিব যা পরে লুপ্ত হয়ে যায়। জানেন কি যে আচার্য শংকর সেই শিবলিঙ্গ পুনরাবিষ্কার করেন। আজও সেই শঙ্কর পূজিত লিঙ্গ এখানে রয়েছে আশ্রমের মন্দিরে। এই গ্রন্থে সেই আশ্রমের সামনে ঘটেছে একটি বিশেষ অঘটন। এরকম ভাবে অমরকন্টকের কত বিস্মৃত ইতিহাস মুর্ত হয়ে উঠেছে লেখকের লেখনীর সৌজন্যে।

Additional information

Weight 300 g

Reviews

There are no reviews yet.

Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.