Kkhanik Khnoje Chirantan (Dakshin Bharat Parbo) / ক্ষণিক খোঁজে চিরন্তন ( দক্ষিণ ভারত পর্ব )

অপার করুণাময় তিরুপতি বালাজী, অসীম আনন্দঘন দেবাদিদেব রামেশ্বর, অনন্ত কৃপাময়ী মা কন্যাকুমারী, চির আনন্দময় রঙ্গনাথজী, নারায়ণের মোহন রূপ গুরুবায়ুরাপ্পা শ্রীকৃষ্ণ এবং শিরডির সাইবাবার অবতারস্বরূপ প্রেমাবতার সত্য সাইবাবার আশীর্বাদে ‘ক্ষণিক খোঁজে চিরন্তন’ গ্রন্থের তৃতীয় তথা দক্ষিণ ভারত পর্বটি প্রকাশিত হল।
মানবজীবন ক্ষণিকের বাসর। ক্ষণিকের জন্যই আমরা লাভ করি এই স্থূলদেহ। এই দেহের মূল লক্ষ্য – আপন কর্মধারার মাধ্যমে মায়ার বন্ধন কাটিয়ে চিরন্তনের আস্বাদলাভ। ক্ষণিকের চিরন্তনে রূপান্তরই যে জীবনের আসল উদ্দেশ্য। আর এজন্য প্রয়োজন সাধনা। সাধনার মধ্য দিয়ে চলতে চলতে ক্ষণিকের জীবনধারা যখন গিয়ে পড়ে চিরন্তনের মহাসাগরে তখন সে আর ক্ষণিক থাকে না; চিরন্তনের অমৃতস্পর্শে সেও হয়ে ওঠে চিরন্তন। আর এই ক্ষণিকের চিরন্তনে রূপান্তরের সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলেন রুদ্রানন্দজী। ২০০৫ সালে এই মহাসাধকের সান্নিধ্যলাভই আমায় প্রেরণা যোগায় এই তিন খণ্ডে সমাপ্ত গ্রন্থটি রচনার জন্য। কারণ রুদ্রানন্দজীর জীবন আমাদের সবার কাছেই আলোকবর্তিকাস্বরূপ। আর কবি তো বলেই গেছেন –

‘মহাজ্ঞানী মহাজন যে পথে করে গমন

হয়েছেন প্রাতঃস্মরণীয়,

সেই পথ লক্ষ্য করে স্বীয় কীর্তিধ্বজা ধরে

আমরাও হব বরণীয়।‘

এই উপন্যাস রসসিক্ত ভ্রমণকাহিনীর মাঝে মহাসিদ্ধ মহাত্মা রুদ্রানন্দজীর সৎসঙ্গই মুখ্য কেন্দ্রবিন্দু। তিনি যে নিজের উদাহরণ দিয়েই আমায় দেখিয়েছেন জন্ম-মৃত্যুর স্বরূপ; দেখিয়েছেন যোগের মাধ্যমে কিভাবে সিদ্ধি ও মহাসিদ্ধি লাভ করা যায় এবং তার মধ্য দিয়ে কিভাবে আপন দেহের মৃত্যুকেও নিয়ন্ত্রণ করা যায় ইচ্ছামত। তাইতো এই ভ্রমণ উপন্যাসের মূল উপজীব্য হয়ে উঠেছে আমার জীবনে রুদ্রানন্দজীর শেষ দিনগুলির সৎসঙ্গের স্মৃতি যা আমার অভিজ্ঞতার পরম সম্পদ হয়েই থাকবে চিরকাল। এই মহাত্মা সকল ভারততীর্থ পর্য্যটন করে কন্যাকুমারীতে সমাধিযোগে দেহত্যাগ করেছিলেন ২০০৫ সালের ১৫ই ডিসেম্বর। মূলতঃ তাঁর অমৃতসঙ্গে কাটানো সেই মধুর দিনগুলি নিয়েই রচিত হয়েছে এই গ্রন্থ। আর তাঁর সঙ্গ করাকালীন তাঁর অমৃতজীবনের যেসব অপার্থিব অভিজ্ঞতা শ্রবণ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে সেইসবই আমি তুলে ধরেছি এই গ্রন্থে। সেইসঙ্গে যুক্ত হয়েছে তাঁর সাথে তীর্থ দর্শনের বিরল অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণ।

“ক্ষণিক খোঁজে চিরন্তন” গ্রন্থের এই “দক্ষিণ ভারত” পর্বে বর্ণিত হয়েছে চেন্নাই, তিরুপতি, পণ্ডিচেরী। মহাব্লীপুরম, পক্ষীতীর্থ, শিবকাঞ্চী, বিষ্ণুকাঞ্চী, শ্রীরঙ্গম, পুত্তাপুর্ত্তি, ত্রিভান্দ্রাম, গুরুবায়ুর, মাদুরাই, রামেশ্বর, শুচিন্দ্রম, সবরীমালা ও কন্যাকুমারী দর্শনের বিশদ বিবরণ। প্রতিটি তীর্থের নিখুঁত ভৌগোলিক বর্ণনার সাথে সাথে সেখানকার পৌরাণিক মাহাত্ম্য, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং আধ্যাত্মিক পটভূমিও বিবৃত হয়েছে যাতে আমার পাঠক-পাঠিকারা ঘরে বসেই এসব মহাতীর্থে মানসভ্রমণের স্বাদ নিতে পারেন। সেইসাথে এই গ্রন্থে পুত্তাপুর্ত্তি দর্শন প্রসঙ্গে বিবৃত হয়েছে প্রেমাবতার সত্য সাইবাবার অমৃতময় মহাজীবনী এবং তাঁকে সামনে থেকে দর্শন করা তাঁর কৃপাপ্রাপ্তির অভিজ্ঞতার অনবদ্য বিবরণ।

একইসাথে তীর্থভ্রমণ ও সাধুসান্নিধ্যের মাধ্যমে আলোর পথের দিশা দর্শন এই গ্রন্থের মূখ্য লক্ষ্য। তাই এতে বিবৃত হয়েছে আধ্যাত্মিক জগতের ধ্রুবতারাস্বরূপ মহাত্মা রুদ্রানন্দজীর জীবনদর্শন, তাঁর সাধনলব্ধ অভিজ্ঞতা ও তাঁর দেখানো পথ যা আমাদের প্রত্যেককেই আলোর লক্ষ্যে অগ্রসর হতে সাহায্য করবে বলেই আমার বিশ্বাস। তাইতো তাঁর অমৃতসঙ্গের মাধ্যমে যে অপার তৃপ্তি ও অসীম আনন্দ আমি হৃদয়ে আস্বাদ করেছি তথা তাঁর সাথে বিভিন্ন তীর্থদর্শনের যে বিরল অভিজ্ঞতা আমি জীবনে লাভ করেছি সেই অমৃতময় অভিজ্ঞতা আমার সকল পাঠক-পাঠিকাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্যই রচিত হল তিন পর্বে সমাপ্ত এই গ্রন্থ।

In stock

120.00

Reviews

There are no reviews yet.

Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.